ডেস্ক নিউজ: অসহায় এক মায়ের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে (মহাপরিচালক) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সুলতানা সামসাদ।
আদালতের অপর এক নির্দেশনায় বনানীর ১১নং রোডের এম ব্লকের ৭৮নং বাড়িটি যাতে কেউ হস্তান্তর করতে না পারে বা মর্টগেজ না দিতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত অসহায় মানুষদের জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট তৈরি করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন।
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘বৃদ্ধাশ্রমের এক মায়ের আকুতি’, ‘স্বামীর দেড়শ কোটি টাকার সম্পদ ডাক্তার ছেলের দখলে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এসব আদেশ দেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বনামধন্য ডাক্তারের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানেরা সৎমা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অসহায় অবস্থায় রাস্তায় ঘোরাফেরা করার পর ডাক্তারের স্ত্রী মহিলা পরিষদ ও আইন সালিস কেন্দ্রের সহযোগিতা চান। মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে তার সন্তানদের ডেকে এনে কিছুদিনের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করেন। ভরণ-পোষণের জন্য দেওয়া ওই অর্থ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি আবার অসহায় ও নিরাপত্তাহীন রয়েছেন।